সবে বাস থেকে নেমেছি, এবার রিক্সা বা টটো
তখনি দৈবগুনে তিনি সামনে হাজির ।
ডান হাত বাড়িয়ে, বা হাত কাটা
বললে, "দে ভিক্ষা দে দাদা,
সারাদিন খাইনি কিছু ।"
সারাদিন দানাপানি আমারও জোটেনি -
জোর করে এত বেলা চুপ থেকেছি
তক্ষুনি চট করে মনে পড়ে গেল ।
ব্যাগ খুলে কুড়ি টাকা, সাথে পাঁচ টাকা কয়েন
আমারই ভিখারী দশা, "আঠখোড়া সেন" ।
ওরাই তো ঈশ্বর, এই মনে হতেই
কয়েনটা রেখে দিলাম বাড়ানো সেই হাতে ।
সবে ফিরছি, ওমা খপ করে পিছন থেকে
চেপে ধরে হাত, বললে, "এটা হলো কি ?"
আমি হতবাক, "কেন ? চাইলে যে তুমি !"
"এই টাকায় হয় কিছু ? রাখ তোর টাকা -"
ও বাবা ! আমি হতবাক, কে যেন বলেছিলেন,
"জীবে প্রেম করে যেই জন, সেইজনই খাঁটি -"
মাথাটা গরম, কি বলি, "শালা তোর ইসেতে কাঠি - ।"
গিয়েছিলাম মন্দির, বিশাল কর্মকাণ্ড
নতুন করে ভবন হচ্ছে, নকশা কাটা ঘর
স্বেত পাথরের পদ্মবেদী, ঠাকুর বসবেন সেথায়
ঘুরে ঘুরে দেখালেন তাই, সন্ন্যাসী "চিলা রায়" ।
বারো কোটি ইতিমধ্যে ফুঁশ উড়ে গেছে
আরও কিছু না পেলে, পূর্ণতা মিছে ।
"এখানেই প্রার্থনা হয় ? রোজ ? দুবেলা ?"
- হয় বটে ! ভোর নিয়ে তিন, ব্যতিক্রমহীন ।
জাগ্রত বিগ্রহ যে ! - সেকি কনফিডেন্স !
মনে মনে হাসি পেল খুব ।
ফাঁকা মন্দির, এতো বৈভবে ঈশ্বরের বাস !
তাইতো সব্বোনাশ ! এতক্ষণে বোধগম্য হলে ।
কেন সে ফেরৎ দিলে, ঈশ্বর কোথায় ?
এইসব ছেড়ে তিনি হাটে, ঘাটে, মাঠে ?
অসম্ভব !!! "বৃথা চেষ্টা তৃষ্ণা মিটাবার .... ।"
Comments
Post a Comment