আত্মকথা

কোথায় থামতে হবে না জেনেই চেপে ছিলাম,
কোন তড়িঘড়ি ছিল না তবু খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত,
একটা দোল খাওয়া দোলনা থেকে আরেকটি -
সার্কাসের পেন্টি পড়া মেয়েটার মতো -
হাত ছুটে যাওয়া মানেই অনির্দিষ্ট নরক যন্ত্রণা
ভবিতব্য না জেনে ভবিষ্যতে ঝাঁপ দিচ্ছি -
লোকে বলে এর-ই নাম জীবন ।

আমাকে কে এপথে টেনে এনেছে
কার কলকাঠি নাড়াতে পদে পদে, খাচ্ছি হাবুডুবু
কথাগুলো কেউ বলে দেয়নি আমায় ।
আমিও ভুলে গেছি, কিংবা হয়তো নিজেই এসেছি স্বেচ্ছায় !
ভুত চতুর্দশীর বুক জ্বলা বাতির মতো 
এখানে ওখানে ঠোকর খেয়ে ভাসতে ভাসতে
এগিয়ে চলেছি ভবিষ্যতের বারান্দায়,
কার সাথে কোথায় কখন হবে দেখা,
আদৌ হবে, নাকি বুকে আগুন নিয়ে
নিয়ন্ত্রণ হীন কলার খোলে ভেলার মতো
ডুবতে ডুবতে জ্বলতে থাকব অনেকক্ষণ ।
                      কিছুই জানি না ।

জীবনের চোরাগলিগুলো আমার ভাগ্য লিখন ।
বারবার টেরি কেটে যখন‌ই সদরে পা বাড়িয়েছি -                                    কোমড় ভেঙে সাপের সহস্র হা,
পিছল পাথর আর নর্দমার নরকে যুগলবন্দী ,
আমার জন্য আলোর পথে কাঁটা ।

শুধু একটা জীবনেই অনেক কিছুই দেখা
সুখ, স্বপ্ন, লোভ, লালসা সোহাগ আবেগ কান্না -
বুকের ভূমধ্য সাগরে এক বিশাল গহ্বর,
ওখানেই জমা আছে কত বুক চেটে আনা
                   পাউডার, সুগন্ধি আতর -
কত অভিশাপ, চোখের জল ফুৎকারে উড়িয়ে
শিৎকারে মেতেছি সকাল সন্ধ্যা রাত্রি
লিখতে গেলে রত্নাকরের কাব্য -
জন্ম থেকে অদ্যাবদি আমার একটাই প্রশ্ন,
এই চক্ররেলে মজা লুটছে কে বা কারা ?
 যদি জমা হচ্ছেই মুনাফা, কার অদৃশ্য খাতায় ?
               আমি সত্যি জানি না !

(দেশ পত্রিকায় পাঠিয়েছি ৩০.১১.২০২৩)
বই - আমার না বলা কথা 





Comments