শিকড়


গাড়ি থেকে নামতে নামতে তথাগত বাবুর কপালে বিরক্তির ভাঁজ পড়তে লাগলো। এই গাধাগুলোকে দিয়ে কিছুতেই কোন কাজ সময়মত নামানো যায় না । সমস্ত কাজেই ওদের একটা দীর্ঘ সূত্রিতা । যেন চলেও চলতে চায় না । সময়ের মূল্যটা যদি ওরা একটুখানি বুঝতে পারতো, তবে দেশটার আজ এই দুর্দশা হতে না ।
মাটিতে পা রেখেই তথাগত বিশ্বাস বাজখাঁই গলায় ডাক পারলেন, " বনোয়ারী - বনোয়ারী --।"
বনোয়ারী এখানকার ঠিকাদার । শুধু এই কাজ নয়, যেখানে যত কঠিন কাজ তথাগত বাবু  হাতে নিয়েছেন, বনোয়ারীর দায়িত্ব সেখানে ততটাই বেশি । খুবই বিশ্বস্ত আর পরিশ্রমী। তথাগত চাইলে কাউকে খালাস করতেও দুবার ভাবে না। তথাগত জানেন, আর জানেন বলেই ওর উপর তার অগাধ বিশ্বাস । কিন্তু আজ গাড়ি থেকে নামতেই তথাগত বাবুর কেন যেন মনে হলো, এই সমস্ত কাজটিতে দেরী হওয়ার মূল কারণ বনোয়ারীর অপদার্থতা । ও আজকাল ঠিক মত লোক চালাতে পারছে না বলেই এত দেরী হচ্ছে । সমস্ত রাগটা মূহুর্তে বনোয়ারীর উপর গিয়ে পড়লো। গাড়ি থেকে নেমে ডাকটাতেই তার কিছুটা ঝাঁঝ প্রকাশ পাচ্ছে ।
বনোয়ারী অবশ্য দূর থেকে মালিকের গাড়ি আসতে দেখে  এদিকটাতেই আসছিল । না ডাকলেও ঠিক পৌঁছে যেত, কিন্তু তথাগত বাবুর ডাক শুনেই বোঝা যাচ্ছে, বাবুর আজ মেজাজ ভালো না । কোন কারণে উনি খুব বিরক্ত ।
ভেতরে ভেতরে একটা দুশ্চিন্তা নিয়ে খুব দ্রুত এসে সামনে দাঁড়ালো বনোয়ারী ।
ওকে দেখা মাত্রই তথাগত বাবু চিৎকার করে উঠলেন, " তোমার হয়েছেটা কি ? এতবার পইপই করে বলা সত্ত্বেও, আমার কথাগুলো কি তোমার কানে যাচ্ছিল না ? নিজেকে আজকাল ভাবো কি ? যদি ঠিক মত কাজ করতে না পারো জায়গা খালি করে দাও । আমার কাজের লোক চাই, অপদার্থ না।"
বনোয়ারীর ভেতরে ভেতরে অশনি সংকেত।  মালিককে সে অনেক দিন থেকে চেনে । আজ প্রায় ত্রিশ বছর এক শহরে কাজ করছে, তাও এই একই মালিকের সঙ্গে। তাই বনোয়ারী  তথাগত বাবুকে হাড়ে হাড়ে বোঝে । ও ঠিক বুঝে গেছে, মালিক খুব বিরক্ত না হলে এমনটা করতেন না । যদিও ভেতরে ভেতরে খুব রাগ হচ্ছিল, তবু সবটুকু ক্ষোভ গিলে ফেলে চুপচাপ মাথা নুইয়ে দাঁড়িয়ে রইল বনোয়ারী ।
--- কি হলো ,  উত্তর দিচ্ছ না যে ? তোমাকে এত বার বলা সত্ত্বেও গাছের গুড়িটা সরলো না কেন এখান থেকে ?
ওঃ , এই কথা ? এতক্ষণে তথাগত বাবুর রাগের কারণ বোঝা গেল । বনোয়ারী  মাথা নুইয়েই আস্তে করে বললে, " আজকের মধ্যে সরে যাবে মালিক।"
--- আমি জানতে চাইছি, এখনো সরলো না কেন ? কেন বারবার বলা সত্ত্বেও তুমি কাজটা শেষ করতে পারলে না ? নাকি আজকাল কাজ করতে ইচ্ছে করে না ? নিজেকে কি ভাবো ? মালিক?
--- চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু --- ।
--- কি মালিক হতে ? তথাগত বাবু ঠিক বুঝতে পেরেছিলেন ও  কি বলতে চাইছে, তবু ইচ্ছে করেই বললেন কথাটা ।
--- না , মানে গাছের কথা বলছিলাম ।
--- "পারোনি,  তাইতো ?  তোমাদের দ্বারা কোন দিনই কোন কাজ ঠিক মতো হয় না, বিরক্তি লাগে ।" কথাটার শেষে একটা খুব খারাপ গালি জুড়ে দিলেন তথাগত বাবু  । অন্য কেউ হলে বনোয়ারী মুহূর্তে টুটি চেপে ধরে প্রতিবাদ করতো, জিভটা ছিড়ে বুঝিয়ে দিত বনোয়ারীকে গালিগালাজ পরিণাম,  কিন্তু আজ চেপে গেল । দাঁতে দাঁত চেপে বললে, " সকাল বেলা অনেক চেষ্টা করেছি , এত বড় গাছের গুড়িটা মানুষের দ্বারা সরানো সম্ভব নয় । আজকে দুটো ক্রেন আসবে, বিকালের মধ্যে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে মালিক ।"
--- এই বুদ্ধিটা যদি তোমাদের মাথায় আগে আসতো তবে আমি বর্তে যেতাম ।" তারপর কি ভেবে আবার বললেন, " তুমি জানো, তোমাদের জন্য আমার আজ কি বিপদ হতে চলেছিল?  তুমি ভাবতে পারো ? তোমাদের ভুলে পুরো প্রজেক্টটাই আজ  বন্ধ হয়ে যেতে পারতো, শুধু তোমাদের ভুলে। "
বনোয়ারী হতবাক ।  এ আবার কি কথা, এখানে মালিকের বিপদ কোথা থেকে এলো। পুলিশ, সরকার, মিডিয়া এমনকি আমজনতা যেখানে ফিট করা সেখানে বিপদ কি করে আসে ?  কিন্তু বনোয়ারীকে ভাববার সুযোগ না দিয়ে নিজেই বললেন, " তুমি জানো, আজ এখানে ফরেস্ট থেকে টিম আসার কথা ছিল ?
বনোয়ারী মাথা নাড়লো, যার অর্থ হচ্ছে সে সত্যি  জানে না। তথাগত বাবুও জানেন খবরটা বনোয়ারীর জানার কথা নয়। কিন্তু এসব আলোচনা সবার সামনে করা ঠিক না, তাই নিজে থেকেই একটু আড়ালে সরে গিয়ে বললেন, " আজ সকালেই মন্ত্রীর ফোন পেয়েই বুঝতে পেরেছিলাম, কিছু একটা ঝামেলা হয়েছে । এসব ব্যাপারে আমার সবসময়ই একটা সিক্সথ সেন্স কাজ করে । আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম কেউ পিছন থেকে কল কাঠি নাড়ছে । মন্ত্রীর কাছে গিয়ে দেখলাম,  যা ভেবেছি তাই । ওরা ঠিক কমপ্লেন করে দিয়েছে ।
মন্ত্রী আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন, "গাছ যে কেটেছেন, পারমিশন আছে?
--- তারমানে আপনি পারমিশন নেননি স্যার ? এত বিশাল গাছটা কাটলেন বিনা পারমিশনে ?
-- তুমি একটা আস্ত আহাম্মক সুব্রত । অফিসই যদি ম্যানেজ করতে হয়, তবে আবার পারমিশন নেওয়া কেন  ? তাছাড়া এত পুরনো বিশাল গাছটা কাটার পারমিশনে কে দেবে, তোমার শ্বশুর ? কত বছর পুরনো গাছ জানো ? তোমার বাপ ঠাকুর্দার জন্ম দেখেছে ।
বনোয়ারী এতক্ষণে লক্ষ্য করলো আরো একজন ভদ্রলোক এসেছেন মালিকের সাথে । ওর খুব হাসি পেল ভদ্রলোকের অবস্থা দেখে । মালিকের গালাগাল শুনে সুব্রতবাবু রীতিমতো অপ্রস্তুত । তথাগতের তাতে কোন ভ্রূক্ষেপই নেই । নিজেই বলে যেতে লাগলেন, " ভাগ্যিস একটা প্যাকেট সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম, তাই এই যাত্রাটা বেঁচে গেলাম । নইলে এতক্ষণে দেখতে এখানে প্রেস আর ফরেস্ট অফিসের পাওয়ার।" বলে একটা অদ্ভুত হাসি হেসে  নিজেই নিজের কৃতিত্ব তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করলেন তথাগত বাবু।
কথা বলতে বলতে হেঁটে সোজা অফিস রুমে চলে এসেছেন তথাগত বাবু । আজকাল রোদটা ঠিক সহ্য হয় না তার । প্রেসারের রুগী তো, দুবেলা ঔষধ নিতে হয় । তাই একটু নিয়ম মানা । ডাক্তারেরও নিষেধ আছে । তাছাড়া এখন আর তার স্টেটাসে বেশিক্ষণ রৌদ্রে থাকা সাজে না, সুন্দর দেখায় না । রৌদ্রর থাকার জন্য বেতনভোগী কর্মচারী আছে । ওনাকে থাকতে হবে কেন ? সোজা অফিসে ঢুকে নিজের চেয়ারটাতে সমস্ত শরীরটাকে ছড়িয়ে দিলেন । বানোয়ারী সাথে সাথেই এসি টা চালিয়ে দিল। বনোয়ারীর বৌটা ট্রেতে  ঠান্ডা জল নিয়ে হাজির। ওকে দেখলে তথাগত বাবুর মেজাজটা ঠান্ডা থাকে । জিজ্ঞেস করলো চা চাই কিনা । তথাগত বাবু হাত নেড়ে নিষেধ করলেন । কিন্তু তারই ফাঁকে আড়চোখে মেয়েটিকে চেটে নিলেন । কালোর মধ্যে মুখশ্রীটা সুন্দর । টানটান শরীরটাতে একটা জেল্লা আছে । দেখলেই সমস্ত শরীরে একটা শিরশির ভাব সৃষ্টি হয়। কিন্তু এইমুহুর্তে তথাগত বাবু খুব সচেতন । বনোয়ারী বা বাইরের লোকের সামনে তিনি কিছুই বোঝতে চান না । তবে মেয়েটি সত্যি চমৎকার । বেশ কয়েকবার তিনি নিজের মতো করে ওকে আদর করেছেন একবারও আপত্তি করে নি। শরীরে প্রচন্ড জ্বালা, আদর করে সুখ আছে । বনোয়ারীকে কাজের অজুহাতে শহরের বাইরে পাঠিয়ে ---- , কথা গুলো মনে হতেই তথাগত বাবু ভেতরে ভেতরে খুব চঞ্চল হয়ে উঠলেন । বনোয়ারীর উপর রাগ অনেকটাই কমে গেল । একটু লোকটাকে তাড়ালে এই মেয়েছেলেটাকেও হারাতে হবে। একটু ধাতস্থ হয়ে বললেন, " তোমরা জানো না, এই জমিটা পেতে আমার কত কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছে । কত জায়গাতে, কত টেবিলে গ্রীজ ঢেলে ঢেলে তবেই আমার এই কাজ পাওয়া । বনোয়ারী সবটাই জানে ।"
--- "সত্যি---- ।" বনোয়ারী সঙ্গে সঙ্গে সমর্থন করলো, কারণ সে সত্যিই সবটা জানে । নিজে সামনে থেকে দেখেছে ।
বনোয়ারীর কথায় তথাগত বাবুর চোখ চকচক করে উঠলো, যেন সব কিছু ছবির মত চোখের সামনে ভেসে উঠেছে । বললেন, " যখন প্রথম বোর্ড লাগলো, সেকি হুলস্থুল । সব সবুজ নাকি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে । একে ম্যানেজ করলে ও চিৎকার করে,  ওকে ম্যানেজ করলে আরো কেউ ক্ষেপে যাই,  কিন্তু বিশ্রী অবস্থা । তারই মধ্যে  অনেক কষ্টে ঠিক হলো আধার শিলা স্থাপনের দিন ।  মন্ত্রী আমলা ছাড়া তো এসব প্রজেক্টে ঠিক মতো হাইপ আসে না । কি আর করা, তার মধ্যেই সব কিছু ব্যবস্থা করা হলো । অনেকেই কথা দিলেন আসবেন, সবটাই ম্যানেজ করা । কেউ কেউ আবার  টোপটা খেলেন, কিন্তু গলায় কাঁঁটা লাগতে দিলেন না । পাঁঁকাল মাছের মত কায়দা করে সরে গেলেন । যাক যত দিন এগিয়ে আসতে লাগলো, ততই ছাওয়াল বিপ্লবীরা সক্রিয় হতে লাগলো । কি মুস্কিল,  শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে ডাকতে হলো ওদেরকে । আলাদা আলাদা ভাবে বসলাম সবার সাথে । বললাম, অসুবিধাটা কোথায় ?
ওরা বললে, " আপনিতো সবুজ ধ্বংস করে ফেলছেন । আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের একমাত্র পার্কটাতেও আপনার কুদৃষ্টি ।
মনে মনে বললাম, দশটা টাকার টিকিট কেটে কদিন পার্কে যাস রে শুয়োরের বাচ্চারা । কিন্তু মুখে প্রকাশ করলাম না । শুধু বললাম, পার্কসটা কি হলে পার্কের দাবিটা চাপা পড়তে পারে ?
বনোয়ারী আর সুব্রত চুপচাপ । গল্পটা ওদের জানা, অনেকবার শোনা,  মালিকের মন রাখতে আবারো শুনতে হবে পুরো এপিসোড।
তথাগত বাবু আপন মনে বলে চলেছেন । বললেন, একেবারেই মোক্ষম ডোজ। অনেকেই লাইনে চলে গেল, রইলো শুধু গানবাজনা লাইনের কিছু লোক । এই লোক গুলো বড় অদ্ভুত, না নিজের ভালো বোঝে না অন্যের ।
কিন্তু কথা বলে দেখো, মনে হবে ওরাই সবটা,  বাকি সব মুর্খ । তবে একটা জিনিস ঠিক,  ওরা আওয়াজ দেয়, কিন্তু কারো ক্ষতি করে না । যথারীতি আন্দোলন তো হলো, কই কিছু হয়েছে  ? কিচ্ছু না, ওরাও জানে সবটাই পিঠ বাঁচিয়ে লোক দেখানো । এখন শুনেছি ওরা সরকারি অফিসের দরজাতে দরজাতে ঘুরছে, কোর্টেও যেতে পারে । আর সেই জন্যই তোমাদেরকে এত চাপ দেওয়া ।"
তথাগত বাবু একটু দম নিলেন । এখন মুডটা অনেকটাই ঠান্ডা ।
সুযোগ বুঝে বনোয়ারী বললে, " আসলে বটগাছ তো ! শিকড়টা ভীষণ শক্ত আর ছড়ানো, তাই একটু সময় লাগছে মালিক  ।"
---- লাগুক, কিন্তু শিকড় থেকে নির্মূল করা চাই । বিন্দুমাত্র কোথাও যেন কোন চিহ্ন না থাকে ।
তারপর নিজে নিজেই বিশ্বম্ভরবাবং বললেন,  শালারা হলো হারামী জাত,  যেখানেই শিকড় গাড়ে একবার, একদম গভীরে চলে যায় আর দ্রুত  ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে । তাই সাবধান ,কোথাও যেন বিন্দুমাত্র চিহ্ন না থাকে ।
--- আপনি নিশ্চিত থাকুন, সব ঠিক হয়ে যাবে । বনোয়ারী তথাগত বাবুকে নিশ্চিত করে ।
হঠাৎই তথাগত বাবুর কি মনে হওয়াতে বললেন, আমাকে এক্ষুনি বেরুতে হবে, একটা মিটিং আছে । তারপর সুব্রতবাবুকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তুমি এখানে থেকে সব ব্যবস্থা করো। কাল এই জায়গাটাতেই দেড়শো মেয়েছেলেকে শাড়ী দেওয়া হবে । মেয়ে মানুষ আর মিডিয়া, দুটো ব্যবস্থা করার দায়িত্বই তোমার । দেখো প্রচারটা যেন ভালো হয়।
তারপর আবার কি ভেবে বললেন, আর হ্যাঁ , পত্রিকার ছোকরাদের প্যাকেটে এবার দুশো টাকা এক্সট্রা লাগিয়ে দিও ।
এসি রুম থেকে বাইরে আসতেই একটা গরম হাওয়া লাগলো । কিছু করার নেই, কোন ভালো কাজ করতে একটু কষ্ট সহ্য করতে হয়। কিন্তু মনটা খুশিতে ভরে গেল । কি ছিল এই জায়গাতে ! একটা বিশাল ঝুড়ি বট,  আর তার ছায়াতে স্যা‍ঁতসেঁঁতে জমি । শহরের মধ্যে একটা জঞ্জাল ।
চারদিকে অসংখ্য কাটা ডালপালা আর বিশাল বিশাল গাছের লগ । অনেকটা যুদ্ধের শেষে কাটা লাশ বোঝাই শ্মশান ।
মালিককে চলে যেতে দেখে বনোয়ারী খুব ইতস্তত করে বললে, " মালিক,  সবাই আজ আধবেলা ছুটি চাইছে, এন আর সি অফিসে যাবে, আপনি পারমিশন দিলে ছেড়ে দিই ।"
--- কেন  ?  ওখানে কি ?
--- আজ ফাইনাল লিস্ট বেড়োবে না ? তারপর আস্তে করে বনোয়ারী তথাগতকে জিজ্ঞেস করলো , " আপনি যাবেন না মালিক ? "
তথাগত বাবু সশব্দে হেসে উঠলেন এবার। বনোয়ারীটার সত্যিই মাথামোটা । তবে রাগ করলেন না । ওর বৌটার কথা ভেবে নিজেকে সংযত রাখলেন তথাগত বাবু । বললেন,  " তুমি জানো না বনোয়ারী আমরা হচ্ছি গিয়ে আসল খিলঞ্জিয়া । আমাদের নাম কাটে কারো বাপের সাধ্য নেই। আমাদের নাম কাটা হয় না , বরঞ্চ প্রয়োজনে আমরা অন্যের নাম কাটি ।নিজেদের সার্থে এবং সবটাই সদর্পে। কথাটা আজীবন মনে রেখো ।
সুব্রতবাবু কথাটা শুনলেন, কিন্তু হজম হলো না । টকটকে নীল আকাশের ততধিক নীল সূর্যটা হয়তো এই কথাতেই প্রচন্ড শব্দে হেসে উঠেছিল তখন ।

Comments