বন্ধু


বাইরে বৃষ্টি পড়ছিল । কদিন থেকেই থেমে থেমে অঝোরে ঝরছে । একটু ফাঁক পেতেই বেরিয়ে পড়েছি। অফিসে কাজের তেমন একটা চাপ নেই। বৃষ্টির জন্য লোকজনের ঘরবাড়িতে জল , বেরোতে পারছে না, অফিসে আসবে কি ?  আমার অবশ্য সেই সমস্যা নেই ।তবে অফিসে কাজের চাপ খুব কম । মন্দ কাটছিল না সময়টা। দুদিন আগে ফেসবুকে একটা গল্প পোস্ট করেছিলাম, এই টাইম পাস আর কি, বন্ধুদের ভালো লেগেছে । অনেকেই ফেসবুকের সাথে সাথে ফোনেও আবার কমপ্লিমেন্টস্ জানাচ্ছিলেন। সত্যি বলতে কি, বেশ লাগছিল । মনে মনে খুব উপভোগ করছিলাম । কিছুক্ষণ পর পর ফেসবুক খুলে দেখছি, কেউ কিছু কমেন্ট দিলেন  কিনা, আর কটা নতুন লাইক পড়লো ইত্যাদি -- । এটাও এক ধরনের নেশা । যত সময় যায়, ততই গভীর হয় ।আসলে রাত জেগে অনেক কসরত করে লেখার পর সেই লেখাটা যদি পাঠকের মন জয় করতে না পারে, তাহলে সত্যিই খারাপ লাগে । মনে হয় পরিশ্রমটাই বৃথা গেল । এবারের লেখাটা অনেকদিন পর সবার ভালো লেগেছে ।
আমিও ওই নেশাতেই ডুবে আছি। বাড়িতে যখন ফিরছি , ঘড়িতে তখন আটটা ছুই ছুই । বাইরে তখনও বৃষ্টি পড়ছে । কোনভাবে অটোতে গা বাঁচিয়ে ঘরে ঢুকতেই দেখি তীর্থঙ্কর বসে আছে ।
--- আরে বন্ধু তুই, হঠাত ?
তীর্থঙ্কর আমার স্কুলের বন্ধু । কলেজেও আমরা একসাথে পড়াশুনা করেছি । আমি, তীর্থঙ্কর, অলোক, প্রদীপ আর ঋত্বিক -- আমরা পঞ্চ পান্ডব। একসাথে ওঠাবসা, একসাথে কলেজ যাওয়া, সিনেমা যাওয়া, এমনকি সকাল বিকালে বেড়ানোটাও আমরা একসাথে সারতাম। কত সিগারেট আমরা একসাথে ভাগ করে খেয়েছি,  পাশাপাশি রাখলে একটা রেলগাড়ি সমান হতে পারতো। । সে একটা দিন ছিল সত্যি ।
আমাদের মধ্যে প্রদীপ আর তীর্থঙ্করের লেখার হাত খুব ভালো  ছিল । আমিও লিখতাম তবে ওদের মত না । অলোক আমাদের মত লিখতে পারতো না তবে খুব ভালো সমালোচনা করতো, যাকে বলে গঠনমূলক সমালোচনা । শুধু ঋত্বিকটাই অন্য রকম। খুব কম কথা বলতো, তবে যা বলতো সেটাই শেষ কথা । আমরাও মেনে নিতাম । কথাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি এই কারণে যে ভালো লেখারও অনেক হ্যাপা আছে । কত ধরনের আবদার সামলাতে হয়, কল্পনাও করতে পারবেন না। আপনারা যারা আমার মত ফেসবুকে গল্প লিখেন, আমার এই অভিজ্ঞতা বলা যায় না  তাদের খুব কাজে আসলেও আসতে পারে ।
সে যাই হোক, মূল কথায় ফিরে আসি । আজ এতদিন পর তীর্থঙ্করকে দেখতেই আমার অনেক অনেক পুরোনো কথা একসঙ্গে ভীষণ করে মনে পড়ে  গেলো । আসলে অলকটা সুইসাইড করার পর আমাদের আড্ডাটা আর জমতো না । কেমন যেন ছাড়া ছাড়া ভাব । তারপর নিয়তির নিয়মে আমরাই এক একজন এক একদিকে চলে গেলাম । যোগাযোগ নেই বললেই চলে । ইচ্ছে থাকলেও সম্ভব হয়ে উঠতো না । এতদিন পরে তীর্থঙ্করকে দেখে স্বভাবতই মুখ ফসকে বেরিয়ে এলো, আরে বন্ধু, তুই হঠাত ?
-- কেন আসতে নেই বুঝি  ?
-- আরে না বাবা, সেভাবে বলিনি , আসলে তুই -- হঠাত --- এতদিন পর -- তাও বিনা নোটিশে,  একটা বিরাট সারপ্রাইজ হয়ে গেল না ?
তীর্থঙ্কর কোন উত্তর না দিয়ে অল্প হাসলো ।
--- কতক্ষণ  ?
--- এই মিনিট পনেরো ।
--- তাহলে তো অনেকক্ষণ । একটা ফোনও করতে পারলি না ।
--- ফোন করে কি হবে , আমিতো জানি তুই আসছিস ।
---স্টিল----। লিপি কোথায় ? তোকে চা টা দিয়েছে কিছু  ? আমি জিজ্ঞেস করলাম ।
তীর্থঙ্কর হাসলো, বললে, তোর বউ তো রিহার্সালে গেছে ।
--- হ্যাঁরে তাইতো । আমাকে এরকমই কিছু একটা বলেছিল । যাক তুই বস আমি চট করে দুকাপ চা বানিয়ে আনছি। সঙ্গে কি খাবি বল ?
--- একদম ব্যস্ত হবি নাতো। আমার হাতে সময় খুব কম । অনেকদিন দেখা সাক্ষাত নেই, ভাবলাম এদিকটাতে যখন এসেছি একবার দেখে যাই ।
--- খুব ভালো করেছিস । আমি বললাম ।
--- প্রদীপ, ঋত্বিক কেউ আসে কি আজকাল ?
--- নাঃ, সময় কোথায়, সবাই ব‍্যস্ত , তবে যোগাযোগ আছে, শুধু তোর সাথেই অনেকদিন ....। 
--- সেজন্যইতো নিজে থেকে চলে এলাম ।
--- ভালো করেছিস, এক মিনিট বস, আমি এই যাচ্ছি আর আসছি ।
চটপট চায়ের জলটা চাপিয়ে দিলাম। অফিসের কাপড় পাল্টে একটু হাত মুখ ধুয়ে  নিতে মিনিট পাঁচেক সময় লাগলো । বাড়িতে ফিরে আমি আবার অফিসের কাপড় চোপড়ে স্বস্তি পাই না । তীর্থঙ্কর দুধ চা খেতে ভালবাসে, তবু এতদিনে পছন্দ বদলালো কিনা জেনে নিয়ে দুকাপ গরম চা সাথে খাটি ঘি আর চিনি দিয়ে মুরি মাখা, চট করে বানিয়ে নিলাম। মুখোমুখি বসতেই আড্ডা জমে উঠলো । সোমা - জয়দীপ, শুভ - জয়িতা, মধুরবন্দের মরিয়ম আর বাহার , বদরপুরের বিজয় কিংবা বিজয়া মৃদুলা অনুরাধা -- কত প্রসঙ্গ । যেন পপকর্ন মেশিন । একটার পর একটা প্রসঙ্গ আসছে, আর তাই ঘিরে কত স্মৃতি। যেন শেষ হচ্ছিল না।   নিজেদের প্রসঙ্গ‍ও ঘুরে ফিরে আসছিল। কিন্তু অল্প সময় পর থেকেই  আমি লক্ষ্য করলাম, না ঠিক লক্ষ্য করা নয়, আমার যেন মনে হলো , তীর্থঙ্কর আমাকে কিছু একটা বলতে চায়। প্রতিটি প্রসঙ্গ শেষেই তার একটা উসখুস ভাব।
একসময়ে যে নিজে থেকেই বললে, বন্ধু, তোর কাছে একটা কাজে এসেছিলাম ।
আমি ঠিক এই ভয়ঙ্কর ভয়টাই এতক্ষণ পাচ্ছিলাম । মুডটা খারাপ হয়ে গেল । আমি শুনেছি ওর আর্থিক অবস্থা খুব ভালো নয়। খুবই টানাটানির সংসার । আমার অবস্থাও আহামরি কিছু নয়। গাড়ি বাড়ি স্টেটাস মেনটেইন করে চলে যায় এই আর কি। আগামী মাসে সিঙ্গাপুর যাবার কথা । এখন এইমুহুর্তে ওকে যদি টাকা ধার দিতে হয় তবে বাজেটে সমস্যা হতে পারে । তাছাড়া ধার তো নয়, সর্ত ছেড়ে দেওয়া । কোনদিনই তাগাদা দেওয়া চলবে না, তাহলেই সম্পর্ক শেষ । শালা,  কি করতে যে আজ এত তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরলাম, নিজেকেই নিজে গালি দিতে ইচ্ছে করছে ।
তবু মুখে যথাসম্ভব হাসি জোর করে ধরে রেখে বললাম , বল , নিঃসংকোচে বল,  আমি তো আছি ।
--- আজকাল দেখছি তুই খুব গল্প লিখছিস ---।
--- ওই ফেসবুকে , একটু আধটু । ব্যাস ওই পর্যন্তই । ঘুরিয়ে কায়দা করে  বলে দিলাম, ভাই ওখান থেকে আমি কোন রোজগার করছি না কিন্তু ।
--- তা হোক, তবু তোর ইদানিং খুব চর্চা চলছে ।
আমি হাসলাম, কি উত্তর দেবো । বললাম, ওই আর কি, ভুত বেচে খাওয়া ।
---দেখেছি,  এটলাস্ট তাহলে স্বীকার করলি তো যে ভুতেরও অস্তিত্ব আছে।
এবার আমার সত্যি ভেতর থেকে হাসি পেলো। বললাম, তোর মাথা খারাপ ? ভুত বলে কিছু আছে নাকি  ?
--- নিশ্চয়ই আছে, নইলে তোর সাথে দেখা হয় কি করে  ?
--- তোর মাথা খারাপ ? আমার সাথে কোনদিনই কোন ভুতের দেখা হয়নি ।
--- তাহলে ?
--- তাহলে কি  ?  ওগুলো গল্প, কল্পনা ।
--- কিন্তু প্রত্যেক গল্পেরইতো একটা ভিত্তি থাকে ।
--- হ্যাঁ থাকে, তবে সেটা খুবই সামান্য । আসলে সবটাই কল্পনা । আরো স্পষ্ট করে বলি বুজরুকি ।
আমার কথাতে মনে হলো তীর্থঙ্কর খুব কষ্ট পেয়েছে। ও আস্তে করে অথচ স্পষ্ট করে বললে, আছে । তুই হয়তো দেখিস নি , কিংবা দেখলেও হইতো চিনতে পারিস নি , তবে আছে ।
--- জানি না, তবে আমার কাছে ভুত মানে অলস মস্তিষ্কের অলীক কল্পনা একটা কাল্পনিক ভয় ।যত গুরুত্ব দিবি ততো চেপে বসবে। আমার স্পষ্ট উত্তর ।
অন্যদিন হলে সারারাত জুড়ে তর্ক হতো। কিন্তু আজ তীর্থঙ্কর ওপথে গেল না । সোজাসুজি আমার দিকে তাকিয়ে বলল,  তোর কাছে বন্ধু একটা কাজে এসেছিলাম ।
আবার সেই তিক্ত প্রসঙ্গ। বললাম, হ্যাঁ , বল।
--- আমার লেখাগুলোতো কোনদিনই প্রকাশ করা হলো না , আর হবে তেমন কোন আশাও নেই .... ।
--- কেন হবে না , নিশ্চয়ই হবে । তুই হাল ছাড়িস না । আমি জেনেশুনে মিথ্যে আশ্বাস দিলাম।
--- আমাকে শেষ করতে দে প্লিজ । আমাকে থামিয়ে দিয়ে তীর্থঙ্কর বললে,  অনেকক্ষণ বসেছি, এবারে আমাকে যেতে হবে । তুই শুধু আমাকে কথা দে যে , আমাকে নিয়ে তুই একটা গল্প অবশ্যই লিখবি।
যাঃ বাবা, এটা  আবার কেমনতর আব্দার । সত্যি তীর্থঙ্করের মাথাটা গেছে। বললাম, আমি তো ভুতের গল্প লিখি ।
--- তাতে কি, এবার আমাকে নিয়ে লিখবি । অন্তত তোর গল্পের মধ্যে দিয়ে আমি অনেক দিন সবার মনের মধ্যে বেঁচে থাকতে পারবো।
--- আচ্ছা ফ্যাসাদে পড়া গেল তো । যত সব অদ্ভুত বায়না । কেউ বায়না ধরলেই তাকে নিয়ে লেখা যায় নাকি । তার জন্য একটা প্লট চাই, তাতে একটা ক্লাইমেক্স থাকা চাই । বললেই কি আর কাউকে নিয়ে লেখা যায় না কি।
কিন্তু তীর্থঙ্কর ও যে নাছোড়বান্দা, এক জায়গাতেই রেকর্ড আটকে আছে ।শেষমেষ বিরক্ত হয়ে বললাম, তুইতো এককালে লিখতি, তুই বল দে না  কি লিখব ।
--- বলে দেওয়ার মত তো কিছু নেই বন্ধু, তোর যা মনে আসে তাই লিখবি । কিছু না হয়, আজকের আড্ডার কথা লিখতে পারিস ।
মনে মনে বললাম, এই জন্যই তোর কিছু হলো না । গল্পেতে একটা টার্নিং থাকা চাই, একটু সাসপেন্স । নইলে পাঠক খাবে কেন? সত্যি ডিসগাসটিং।  মুখে ওসব কিছুই বললাম না ।শুধু বললাম, আমাকে একটু ভাবতে দে ।
--- ভাবাভাবির কিছু নেই, তোকে লিখতেই হবে ---। তুই কিন্তু কথা দিচ্ছিস আমাকে।
আমি কি উত্তর দেবো , হয়তো একটা কড়া কিছু বলেই দিতাম । কিন্তু তখনই ফোনটা বেজে উঠল । ওপাশ থেকে প্রদীপের আওয়াজ ।
--- তুই এই মুহূর্তে কোথায় ?
--- কেন রে  ? বাড়িতে ।
--- চট্ করে কাপড় গায়ে দিয়ে এসএমসি তে  চলে আয় । আর শোন, হাতে কিছু টাকা থাকলে নিয়ে আসিস । লাগতেও পারে ।
--- কেন কিছু হয়েছে নাকি  ?  আমি প্রশ্ন করলাম ।
--- হ্যাঁরে, তীর্থঙ্করটা অফিস থেকে ফেরার পথে মহাসড়কে এক্সিডেন্টে করেছে, স্পটডেড ।
--- কি বললি ?
---  তীর্থঙ্কর নেই ।
--- তীর্থঙ্কর নেই মানে?  ওতো আমার সামনে বসা ।
--- কি সব আবোল তাবোল কথা বলছিস, তোর মাথার ঠিক আছে ?
--- হ্যাঁ , ঠিক আছে তো । আমি তো তোর মত নেশা করি না।
--- তুই কি বলতে চাইছিস ?
--- তুই মিথ্যে বলে ধরা পড়ে গেলি তো ? 
--- আমি মিথ্যে বলছি না, বিশ্বাস কর্ ।
--- আমি ও তো সত্যিটাই বলছি বন্ধু ।
---আমি কিন্তু সিরিয়াস,  তুই আসবি কিনা বল  ?
--- না, আমাকে মিথ্যে বলে ঠকানো যাবে না ।
--- তাই?  তাহলে তুই বাড়িতেই থাক ।
ওপাশ থেকে ফোনটা কেটে গেল ।
তীর্থঙ্কর আমার সামনেই বসা । মুচকি হাসছে । বললে, কিরে কি হয়েছে ।
---- ও কিছু না ---।
---- আহা বল না কি বললো ? আমার এক্সিডেন্ট হয়েছে, তাইতো ?
---- তুই জানলি কি করে ?  আমি তো রীতিমতো চমকে উঠলাম ।
--- টেলিপ্যাথি --?
--- তারমানে -- ? আমার যেন কিছুই বোধগম্য হচ্ছে না ।
--- আহা, তুই টেলিফোনে কথা বলছিলি, আমি ওভার হিয়ার করলাম । বলেই সশব্দে হেসে উঠলো তীর্থঙ্কর ।
--- তাই বল আমি তো ঘাবড়ে গিয়েছিলাম । প্রদীপটাও সবসময়ই ঠাট্টা করে, আমার ভালো লাগে না । আমি রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করলাম ।
--- আহা রাগ করিস না, হয়তো সত্যি বলছে ----।
ঠিক ওই সময়টাতেই দরজাতে কলিং বেল বেজে উঠল । বললাম, একটা মিনিট বস, বোধকরি লিপি ফিরে এসেছে ।তোকে দেখতে পেলে খুব খুশি হবে।
উঠে দরজা খুলতেই সত্যি সত্যিই রিহার্সাল শেষ করে লিপি ফিরে এসেছে ।
আমাকে দেখে দুর থেকেই হাঁপাতে হাঁপাতে বললে, খবরটা পেয়েছো ?
--- কি ?
---তোমার বন্ধু তীর্থঙ্কর আজ এক্সিডেন্টে মারা গেছে, স্পটডেড । টিভিতে দেখাচ্ছে ।
--- কি বললে ? তীর্থঙ্কর ? ওতো -----। বলে সঙ্গে সঙ্গেই পিছন ফিরে তাকিয়ে  দেখি নেই । নেই মানে সত্যি সত্যিই নেই। যে জায়গাটাতে তীর্থঙ্কর বসেছিল, ওই জায়গাটা খালি । এদিক ওদিক তাকালাম, নাঃ কোথাও নেই । আশ্চর্য, এই ছিল এই নেই। একটা জলজ্যান্ত লোক নিমেষে হাওয়া হয়ে গেল, অবিশ্বাস‍্য । অথচ মুরির বাটি , ওর এঁটো চায়ের খালি কাপটা সবইতো আছে । আমার ঠিক বিশ্বাস হচ্ছে না । তবে কি ?---- শুধু আমারই সঙ্গে এসব হচ্ছে কেন?  শরীরটা হঠাৎই কেমন যেন করতে লাগল । বুকের মধ্যে একটা ব্যাথা, মাথাটা ঝিমঝিম করছে । শিরদাঁড়া বেয়ে একটা ঠান্ডা রক্তের স্রোত। প্রেসারটা বাড়লো না তো ? পড়েই যেতাম, ভাগ্যিস পাশে লিপি ছিল । এরপর আর কিছু বলতে পারছি না ।
না, টিভি আমি দেখি নি । পুরো দুদিন বেড রেস্ট । ডাক্তার বলছেন সাডেন শকের ফল । বাড়িতে সবাই বলছে এটা নাকি অত্যাধিক  ভুতের গল্প লেখার ফল । আমাকে কেউ বিশ্বাস করতে চায় না, কিন্তু আপনারা বিশ্বাস করুন, তীর্থঙ্কর এসেছিল। আমার ওখানে বসে চা মুরি খেয়েছে।
আচ্ছা কি করলে আপনারা বিশ্বাস করবেন বলুন তো ? ওই চায়ের কাপ,  মুরির বাটি ওগুলো তো মিথ্যে নয়। তাহলে ?

Comments