শালীনতা


আমার বৌটা খেমটা নাচে ভালো ।
'হামেসাই' ক্লাবে, বারে, পার্টিতে যায় ।
নাচে কাঁদে, হেসে কথা কয় ।
একটু আধটু ড্রিঙ্কস, সেতো প্রায়ই নেয়
           বা নিতে তাকে হয় ।
আমি তাতে বাধা দেই নাকো । 
কি হয় ? না হয় খেলোই একটু -
আর খেলে যা হয়, একটু নেশা
গায়ে গায়ে ঠোকাঠোকি, একটু ইসে -
হ্যাঁ, হয় না যে তার সঠিক ঠিক ঠিকানা নেই। 
মাঝে মাঝেই রাতভর বাইরে থাকে সে !
কেউ কেউ খাতির করে আমাকেও 
প্রসাদ দিয়ে যায়, আমি বর্তে যাই তখন ।
বুকে আমার ব্যাথা "সুন্দরবন" -
আমি তার পূঁজিটাকে মূলধন করে
নেশায়, আবেশে, বেঁচে থাকার তাগিদে
                     মৌতাতে মাতি নিত্যক্ষণ !

যখন পাশের বাড়ির রহমত খাঁ-এর বিবি
একটানে হিজাব খুলে সামনে এসে দাঁড়ায় ।
প্রায়শই নয়, মাঝে মাঝে -
যখন পাপের পাহাড় মাথার উপর নাচে
           পচা মাংসের গন্ধ -
পথ সব রুদ্ধ দ্বার, অন্ধ গুহা বন্ধ -
প্রতিবাদে টানটান দেহের প্রতিটি বাঁক -
জ্বলতে থাকে আগুন দুটো চোখে-
আমার তখন কবুতরের বুকে - ঢিসঢিস ঢিসঢিস-
আমি তখন কোণঠাসা - ছাল ছাড়ানো "ষোল"
সমস্ত শক্তিতে  চিৎকার করে বলি, "শালী
মেরে হাড় গুঁড়িয়ে দেব তোর,
শালীনতার সীমানাটা বজায় রাখবি কিন্ত !"
 

Comments