আজ সকাল হতেই আলজিহ্বাখানি
দীর্ঘকায় - জিভে চেপে বসা,
আওয়াজ দিতেই কন্ঠ চেপে ধরে ।
আমি বা আমরা বরাবরই ভীতু প্রকৃতির লোক,
তবু ভেতরে ভেতরে ভগ্নপ্রায় দশা ;
ফুটন্ত আগ্নেয়গিরির লাভা যেন -
শব্দের স্ফুলিঙ্গগুলো তীক্ষ্ণ গতিতে ছুটছে ,
আজ উনিশে মে তাই কৃষ্ণচূঁড়ারা ফুটছে ।
উনিশে মে ভাবতে গিয়েই ভাবনা এলো মনে
আজ উনিশে মে, বাংলা সনে কত ?
এই রে ! তা হোক যত, ভাবনা শত শত
একদল কুব্জ ক্লান্ত মানুষ, মিছিল করেছে দীর্ঘ
শ্যাওলা মাখা মোড়ের বেদীগুলো
বছর শেষে ঝাড়ুর স্পর্শ পেতেই
খানিক হলেও ফিরে পেলে শ্রী ।
আজ উনিশে মে তাই বাঁশিতে শুধুই বাগেশ্রী ।
মেরুদন্ডের মজ্জ্বাগুলো শুকিয়ে গেছে কবেই
নুব্জ হওয়া শিড়দাঁড়ায় ভীষণ শিরশিরানি
সব হারিয়ে শূন্য হাতে রিক্ত হবার ভয়ে
আমার ভয় করেছে জয়, আত্মপরিচয় -
ওরা বলে এদের জন্য হতশ্রী দশা
সত্যি বলি ওদের জন্যই একটু মগজ ঘষা,
ওদের জন্যই বছর শেষে উনিশ ফিরে আসে
শুকিয়ে যাওয়া ক্ষতস্থানে তীক্ষ্ণ আঁচড় টান
রক্ত ঝরছে ঝরুক
রক্তে রক্তে কৃষ্ণচূঁড়ায় আকাশ হোক লাল
আত্মগ্লানির গর্ভ থেকেই জন্ম নিক
আবারও আত্মবলিদান ।
উনিতে মেতে প্রকাশিত
Comments
Post a Comment