আমার বাবা লোকটি বড় অদ্ভুত
পেন্ট সার্ট গায়ে দিতেন না কোনদিন,
আজীবন ধুতি আর ফতুয়াতে
একেবারেই ভীড়ে হারিয়ে যাওয়া লোক ।
বাড়িতে ঈশান কোণে যে বটগাছটি -
জন্মাবধি দেখছি সেই একই , বিশাল - প্রকান্ড -
রোজ দেখি অথচ নজর কাড়ে না মনে ।
বসার ঘরে বাবার ফটো রেখেছি সাজিয়ে
বাবাকে নিয়ে কোন কালেই গল্প করিনি কখনো ।
বাবা কোনদিনই সাতে পাঁচে ছিলেন না
সাতে পাঁচে থাকার যে রস -
সারাজীবন সংসার তাঁর সব রস নিংড়ে নিয়েছে শুধু,
জন্মাবধি আমরাও তাই একবারেই রস কষহীন ।
বটগাছটায় বছর বছর ফলন ভালোই ছিল
অথচ ফলগুলো আশ্চর্য, কোনকালেই কাজে এলো না ।
বাবার মনে আমৃত্যু স্বপ্ন ছিল হয়তো
তবে ঘুমের মধ্যেও স্বপ্ন দেখতে শুনিনি কোনদিন ।
যেদিন বটগাছটি ভেঙ্গে গেল ঝড়ে
আমি সেদিনই দৈবাৎ ক্রমে বাড়িতেই আছি,
একটা বুকফাটা কান্না মাটির বুক চিরে
আকাশ ছুঁয়েছিল শুধু একবার, তারপর স্তব্ধ ।
বাবাকে কাঁধে তোলার সময় আমরাও -
কেউ দেখছিলেন কেউ গল্পে ব্যস্ত ।
পারিবারিক ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছিলাম আমরাই
আশেপাশে একটি পাতাও ঝরেনি সেদিন ।
Comments
Post a Comment