আজ অবেলায় বেলা দ্বিপ্রহরে
কোথা থেকে এক প্রজাপতি
পথ ভুলে
উড়ে এলো আমার কুটিরে, অনাদরে ।
স্থান নিল শুভ্র কেশে অবহেলায় ।
দূরে জানালার ফাঁকে সারি সারি পাইন
স্তব্ধ ঋষি যেন নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে ।
কিছু ক্যাকটাস অজানা অচেনা নাম
অতিথির মতো
নির্বিকার ঝুলে আছে অযতনে গায় ।
এখন ফাগুন মাস, ফুল ফোটাবার - ।
থোকা থোকা চিত্রকলা যেন বিচিত্র বিন্যাসে
অবাক বিস্ময়ে আমি তাকিয়ে থাকি ।
প্রজাপতি ভুল করেছিল,
আমি তারে স্থান দিই নিজ শুভ্র কেশে ।
স্থবির হই পাছে ভুল ভাঙ্গে তার
বাকরুদ্ধ থাকি যেন কম্পহীন তরু ।
সময়ের সরু পথ বেয়ে কাল ছুটে
কালক্ষেপহীন, বক্ষ দুরুদুরু -
আমি শুধু তাকিয়ে আছি পাইনের বনে ।
ধীরে ধীরে সর্ব অঙ্গে বটবৃক্ষের মতো
ঝুড়ি নামে চারিধারে অজস্র ধারায়,
শিকড়ে শিকড়ে আমি আঁকড়ে ধরি মাটি -
যেন চলমান, সে গতি হারায় ।
আমি নই, প্রজাপতি ভুল করেছিল,
আমি শুধু শুভ্র কেশে দিয়েছিলাম ঠাঁই ।
ধীরে ধীরে কানে আসে সহস্র গুঞ্জন -
বৃদ্ধের ভীমরতি এরই নাম হয় ।
ঠাট্টা, তামাসা, কুৎসার শেষে
একে একে রবাহুতেরা ফিরে যায় ঘরে ।
আমি নই, প্রজাপতি ভুল করেছিল,
আমি শুধু তারে টুকুন - ভালবেসেছিলাম ।
Comments
Post a Comment