লজ্জা স্মারক

ঠকঠক-, ডুপ - ডাপ -
জোরসে চালাও শাবল,
আরো জোরে, আরো জোরে -
সব শক্তি উজাড় করে দাও
রাত ভোর হবার আগেই, 
উপড়ে ফেলতে হবে স্মারক ।

ভয় নেই, চারপাশ প্লাস্টিকে ঘেরা,
লাল-সেনাদের বলা, সজাগ পাহারায় -
ছুটে বাধা দেবে তোমায় কেউ
       সেই পথ বন্ধ,
সাংবাদিকদের হাত- কলমে বেড়ি -
         সূবর্ণ সুযোগ -
তোমাদের কাজ শুধু রাত্রির মধ্যেই
উপড়ে ফেলা "দি টাওয়ার অব শেম" -
 লজ্জা স্মারক স্তম্ভ ।
কাল সকালবেলা হংকংবাসী দেখবে
মুছে গেছে আমাদের কালো কারনামা - 
মার্চ অন, লাল ফৌজ মার্চ অন !

কাজটা সহজ হলেও কঠিন ভীষণ
এক নয়, দুই নয়, ছাব্বিশ ফুট উঁচু
ঠিক ততটাই, যতটা উঁচু থেকে
চোখে চোখ রেখে বলতে পারে ওরা -
"তোমরা আজীবন‌ আসলে জনবিরোধী সরকার,
হত্যা করেছো অসংখ্য নিরীহ প্রাণ ।
তোমরাও নব জাগ্রত সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ।"
ওরা বলছেও তাই !

হাত চালা বাপ, বাপ হাত চালা
প্রচন্ড ঠান্ডায় কুঁকড়ে আছে পৃথিবী
কুয়াশায় অস্বচ্ছ দৃষ্টি, এইটাই মহেন্দ্রক্ষণ 
মুছে ফেল মুখোশের আড়ালে
লুক্কায়িত মুখচ্ছবির প্রতিচ্ছবি,
কাল সকাল হলে যেন কেউ দেখতে না পায় !
কথাটা মনে গেঁথে নে !

ওফ্ কি বীভৎস মূর্তিগুলি
স্তূপাকৃত লাশ যেন, বিদ্রুপ ভরা চোখ,
মুহূর্তে মুহূর্তে কঁকিয়ে উঠা যন্ত্রণা
আঃ, আর পারি না !
হাত চালা বাপ হাত চালা ।
এই হারামীর বাচ্চা
সাবধানে ধর্ , যাতে চোট না লাগে
যদি ভেঙ্গে যায়, রক্ত গঙ্গা ব‌ইবে নিশ্চয় ।
আরো একটা তিয়েনানমেন স্কোয়ার 
জন্ম নিতে পারে -
আরো একটা কালো সূর্য ঝলসে দিতে পারে
আমাদের, চোখ, মুখ, অন্তরাত্মা
আরো জোরে হাঁক শাবল লাল ফৌজ,
আরো গভীর থেকে শিকড় উপড়ে ফেল্ ।




Comments