পায়া ভারী দেরাজটা ঘরের এক কোণে দাঁড়িয়ে
বাবুগিন্নীদের এককালের সচ্ছলতার সাক্ষী
এখন আর ওখানে কানপাশা, বাজুবন্ধ,
কিংবা কোমরবিছা থাকে না।
যা আছে সব শুকনো কাগজ আর ফাইলে ঠাসা।
রসহীন, খসখসে, বিবর্ণ কাগজের স্তুপ।
তারই গায়ে পাতায় পাতায়
ভালবাসার কষ বা রক্তের কালো আঁচল
সবটাই সময় আর ক্ষমতার কঙ্কাল।
পা ভারী মেয়েটা বসে আছে একা
দেওয়ালে হেলান দিয়ে পা-দুটো ছড়ানো
চোখে তার উদাস করা দৃষ্টি আর
শরীরে জোয়ারের ভেজা বিধ্বস্ত রূপ।
গত কিছুদিন ওর শরীরটাকে
ময়দার তাল ভেবে ডলে দিয়ে গেছে
মনে জমিদার কিছু উশৃঙ্খল বাবুরা।
শিয়ালের মতো দাঁত বসিয়েছে
তার বুকে, পেটে, পিঠে, জঙ্ঘায়
কিংবা কুকুরের মতো চেটে দিয়েছে
তার ঊরুসন্ধি।
একটা বেজন্মার বাচ্চা কোন এক অতর্কিতে
লাঙলের ফলায় বুনে দিয়েছে নতুন প্রজন্মের বীজ
মেয়েটা বুঝতে পারেনি তখন।
পায়া ভারী দেরাজটার মতোই
পা ভারী মেয়েটাকেও সবাই
এখন তেরছা নজরে দেখছে।
Comments
Post a Comment