শবরীর প্রতীক্ষা

এক আকাশ ভালবাসা দিতে চেয়েছিলাম
এক বুক ভালবাসার বিনিময়ে ।
সমুদ্র সমান তৃষ্ণা নিয়ে ছুটে এসেছিলাম
                             তোমার কাছে,
এখন যে লকডাউন, মনে ছিল না।

তোমাকে নিয়ে অনেক কবিতা লিখেছি আমি,
শব্দের প্রতিটি উরুসন্ধি তোমার স্মৃতিতে ঠাসা
লোকে আমাকে যাই সান্ত্বনা দিক,
সাবাসী আর পিঠ চাপড়ানোর মধ্যেও
এখন‌ও ক্ষত থেকে রক্ত ক্ষরণ হয় প্রতিদিন।
তোমাকে বলা হয়নি আমার।

যারা স্বাক্ষর তারা অক্ষর থেকে স্বাদ খুঁজে নেন,
বর্ণে গন্ধে অনেকটাই কেবিনেট মিটিং।
আমার মতো নিরক্ষরের কাছে,
শব্দগুলো পুজোর থালিতে ফুল,
একটা একটা করে চয়ন করি রোজ
যত্নে মালা গাঁথি সন্ধ্যা ভোর ।
মিথ্যা মরীচিকায়।

নানাজনে নানা কথা বলেন।
কেউ জ্ঞান দেন, কেউ সান্ত্বনা
আমাকে এখন আর অগুরু চন্দন ঘষতে হয় না,
যারা সিটি গোল্ডের গয়না গড়েন 
                             তাদের জন্য কোটিং।
আমার জন্যে নয়।
আমার শব্দগুলো ফুলের মত নিজস্বতা রাখে,
রূপে, গন্ধে কেউ নয় খাঁটো, তুমি বুঝবে না।
করোনা রোগীরা শুনেছি স্বাদ গন্ধের উর্ধ্বে।
সংক্রামিতেরা বোঝার কথা নয়।

তবু বলি, জীবনের সব হিসাব শেষ হয়ে গেলে
যদি দেখো স্মৃতিগুলো দাগ রেখে গেছে
ধূসর কোন এক ধুলো মাখা স্মৃতির পাতায়,
কালিগুলো সব রক্তলাল থেকে শুকিয়ে কালো;
দুফোঁটা চোখের জল ফেলে দিও শুধু,
লোনা জল সব দাগ মুছে দিয়ে যায়, 
                              
        ভয় পেয়ো না।
জন্মতো জন্মান্তরের জন্যে নেওয়া, 
যদি পারো আমার জন্যে 
            কোন একটিবার সময় রেখো শুধু।
শবরীর প্রতীক্ষা আমার সার্থক হোক।

Comments