চারপাশে অসংখ্য মোমবাতি জ্বলছিল
একটা নিঃশেষ হতেই
আরো দুটো জ্বলে উঠেছিল তক্ষুণি
আলোয় আলোকিত ছিল
আমার ছোট্ট ঘরটা।
হঠাৎই দমকা হাওয়ায় ঝপঝপ -- ঝপঝপ,
এদিকে --- ওদিকে -- এখানে -- ওখানে,
একটার পর একটা নিভে যাচ্ছে মোমবাতি;
আমি দেখছিলাম নিজে, চোখের সামনে।
কোনোটি অনেকটাই, কোনোটা আধপোড়া
কোনটি সবে মাত্র জ্বলেছে।
একে একে নিভে যাচ্ছে সব।
আমি শুধু অসহায় চমকে চমকে উঠছি,
অন্ধকার আতঙ্ক হয়ে গ্রাস করছে আমাকে।
ভিতরে একটা চাপা কষ্ট স্পষ্ট
আমি বোঝাতে পারছি না কাউকে।
কে যেন কানে কানে বলল আমাকে,
কবি, তুমি কি ক্লান্ত ? রক্তাক্ত হৃদয় ?
এখন সময় ভেঙ্গে পড়ার নয়।
ধরো হাত, ওঠো, এসো হাতে হাত রেখে
আড়াল করি প্রতিটি নিভু নিভু আলো --
নিষ্ঠুর দমকা হাওয়ায়,
প্রাণে প্রাণ জুড়ে গড়ি প্রতিরোধ ;
অন্তত যতক্ষণ না ওই প্রভাত সূর্য
জেগে ওঠছে আকাশে।
এসো করি সমবেত প্রার্থনা।
কাল যায়, ক্ষণ যায় মরা নদীর মত,
ধীরে ধীরে চোখ মেলে ঘর জুড়ে তাকাই
অন্ধকারে অনুভবি অসংখ্য বিবেক বসা।
মুসড়ে উঠি, অদ্ভুত সব আমার মতো
ওদেরও দুটো হাতই কাটা।
Comments
Post a Comment