চৌষট্টি কলা

গতকাল আবারও মেঘ আর আকাশকে দেখেছি
খুব বিচ্ছিরি ভাবে ঘনিষ্ঠ অবস্থায়।
ছাদের ওই চিলেকোঠায় 
যেখান থেকে একাদশীর চাঁদকে আমি
প্রথম দেখেছিলাম,
সেখান থেকেই দেখেছি গতকাল
নারী আর পুরুষের আদিম "নিষিদ্ধ" প্রেম,
মেঘ আর আকাশের শরীরী খেলা।
ভর দুপুরবেলা, সে কি অলক্ষুণে কান্ড
লজ্জার মাথা খেয়ে ওরা, প্রায়শই যখন তখন,
দিনের স্পষ্ট আলোয় কিংবা রাতের গভীরে,
এ ওকে জড়িয়ে ধরে
ঠোঁটে ঠোঁট, মুখে মুখ ঘষতে ঘষতে
শুষে নেয় শরীরের সমস্ত অমৃত
আমি দেখছি, আর দেখেছে ষোড়ষী বৃষ্টি
বন্ধু প্রলয়ের বোন, 
অবাঙালি তবু পুরোটাই বাঙালি কৃষ্টি।
আমরা দেখেছি দুজনে।

নিষিদ্ধ প্রেমে যে কি আশ্চর্য সম্মোহনী
আমি জানতাম, তবু আসক্তি অসীম
বৃষ্টিকে দেখে আমি থমকে গেছি,
পালাতে পারিনি।
চোখাচোখি হতেই হেসেছি শুধু ।
দুটো পা শতাব্দী প্রাচীন অশ্বত্থের মতো
শিকড় ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম
ছাদের ওই চিলেকোঠায়,
একে অন্যের ঠিক মুখোমুখি।
আমাদের সমস্ত সত্তা জুড়ে তখন 
                               মেঘ আর আকাশ
তাদের প্রতিটি শীৎকার, শরীরে শীতল শিহরণ --
পরতে পরতে খুঁজছি নিজের অপূর্ণতা
বৃষ্টি এসে কানে কানে বললে বন্ধু,
সৃষ্টির প্রাচীনতম খেলা অনেকটাই 
                               উদ্দাম, উন্মাদ হয়
আদ্যিকাল থেকেই সে আদি রসে ভরা, 
                             বুনো গন্ধমাখা ।
যদি আনন্দ নিতে চাও, ঝাঁপিয়ে পড় বুকে 
তোমার সমস্ত সত্তা দিয়ে দুহাতের বন্ধনে 
               আমাকে আলিঙ্গন করো
আমি তোমার দেবদাসী হব
তোমাকে শেখাবো বাৎসায়নের চৌষট্টি কলা।


Comments