গজেন্দ্রগামিনী

কাল বিকেলে গাঙপারের ঘাটে
একটা পাখি দেখেছিলাম,
অপূর্ব সুন্দরী, মায়াবী।
মুখটা হলদেটে, বাসন্তীও বলা চলে,
সারা শরীরটা সবুজ আর নীলের সাথে
ময়ূরীর সংমিশ্রণ।
তুমি বলবে মাছরাঙা --,
কিন্তু না হে, মাছরাঙা নয়,
একটুখানি বড়, বুকে প্রচণ্ড ভয়
কাঁপছিল থরথর।
আমি আমার দুহাতের অজ্ঞলীতে
তুলে নিয়েছিলাম তাকে,
আদরে, সোহাগে ভরিয়ে দিয়েছিলাম
তার সমস্ত শরীর।
সে নিশ্চুপ বসেছিল উত্তাপ নিতে,
প্রতিবাদ হীন।
তারপর সন্ধে হবার মহেন্দ্রক্ষণে
ফুড়ুৎ করে উড়ে গিয়েছিল
তার সিঁদুরের ঠিকানায়।
এক বুক তৃপ্তি নিয়ে আমি বসেছিলাম ঘাটে।

কথাগুলো বলতাম না তোমাকে
যদি গল্পটা সেখানেই শেষ হয়ে যেত,
আজ আবার সকালে গাঙপারে গেছি,
দেখি সেই আশ্চর্য পাখি 
                           এসেছে নদী ঘাটটায়
আজ সে কলস কাঁখে গৃহস্থ রমণী
পাখী নয়, পাখী নয়, সে যে গজেন্দ্রগামিনী।

Comments