ব্যতিক্রমী শুঁয়োপোকা

কবিরা শুনেছি বড় অদ্ভুত প্রকৃতির --,
তাদের ভাবনা, ভাব, ভালবাসার
লেজ মাথা নেই।
তারা আকাশে কুসুম কল্পনা করেন, 
মেঘের মধ্যে ভেলা,
ইচ্ছে হলেই রাজার গায়ে পালক জুড়ে দেন,
আবার ভাব বাচ্যে "রাজা কখনো নাঙ্গা"।

খরায় যখন ফসল নষ্ট,
নদীর জল শুকিয়ে সূতিকা রুগী
এক পশলা বৃষ্টির জন্য চাষীরা 
হা পিত্যেশ করছে দিন রাত্রি,
কবির কন্ঠে তখন কাব্যের আদিখ্যেতা
"তপোবহ্নির শিখা জ্বালো জ্বালো"
গ্রাম বাংলার উঠোনে জাগে
             ‌                 শ্মশানের নিস্তব্ধতা।

আবার বর্ষায় যখন জল থ‌ইথ‌ই মাঠ
মিউনিসিপ্যালটির নাকের গর্তের মতো
সরু সরু নালা --
আবর্জনা আর কালো ঘোলের মতো
মাটি টানতে টানতে ক্লান্ত,
যখন তখন ইচ্ছে মতন বমি করে ভাসিয়ে দিচ্ছে,
ঘর বাড়ি মায় অফিস পাড়ায় উঁচু পথটা,
কবির মনে তখন প্রেমের জোয়ার।
"শ্যামল শোভন শ্রাবণ, তুমি নাই বা গেলে --"
বসন্ত যদি সুন্দরী বঁধু হয়, শান্ত, সুশীল -
বর্ষা তবে কবির পরকীয়া প্রেমের প্রথম মজ্ঞরী।

আসলে কবিরা অনেকটাই উৎকট,
কিংবা অদ্ভুত মানসিকতার --
কোরোনা আতংকিত মানুষকে সে শোনায়
জীবনের হাতছানি,
পরিযায়ী পায়ে খুঁজে রক্তের আলপনা ।
যুদ্ধের দাবানলে যখন সীমান্ত উত্তপ্ত
কবি কল্পনায় তখন শান্তির পারাবত।
আসলে কবিরা হয়তো ভীষণ বোকা
কিংবা পৃথিবীর বুকে 
অতি আশ্চর্য এক ব্যতিক্রমী শুঁয়োপোকা।








Comments