তোমার সাথে আমার পরিচয়
বিয়ের আগে হিসেবে মতো দশ বছর ।
ভাললাগা থেকে ভালবাসাতে পাড়ি দিতে ,
অজান্তেই কেটে গেছে সুদীর্ঘ সময় ;
তারপর, তিলে তিলে ক্রমাগত শুধুই প্রতীক্ষা ,
সময়ের ইন্দ্রজালে এখন আমরা প্রাপ্তবয়স্ক।
তুমি আমি আর আমাদের সম্পর্ক ।
এখন তুমি আর ফ্রক পড়ো না,
শাড়ীতেই অনেক বেশি সাবলীল ।
তোমার ছিপছিপে শরীরে বর্ষার মাদকতা,
পুরুষ রক্তে জাগে আদিম উন্মাদনা ।
যে বুকটা টেপ জামাতেই ঢাকা থাকতো
এখন সেখানে সুগভীর গিরিপথ ।
তোমার আমার মধ্যে সযত্নে একটি দাড়ি
চাইলেই সমুদ্রে অবগাহন ছিল হাতের মুঠোয় ,
জীবনটাতো ছেলে খেলা নয় ;
অশ্বমেধ ঘোড়াতে তাই লাগাম ছিল ধরা।
পর্দার আড়ালে যে সৌন্দর্য,
তাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলাম সযত্নে পূর্ণিমার অপেক্ষায় ।
যেদিন চাঁদ এসে নিঃশব্দে চুমু দিল পৃথিবীর গালে,
মায়াবী রূপালী আলো তখন মমতা ছড়ায় ,
পাখিরা জেগে ওঠে, বুঝি ভোর হলো ,
তোমার আমার সেই প্রথম অভিসার ।
স্বর্গের পারিজাত আজ দুহাতের মুঠিতে ,
বাসরের শয্যায় পাশাপাশি শোওয়া ,
আমাদের মধ্যে আর নেই পর্দার আড়াল ।
সমস্ত ঘর জুড়ে পূর্ণিমার স্নিগ্ধ মায়াজালে
আমরা যেন ভাসমান মেঘের ভেলা ।
অভাববোধের নেই কোন অবকাশ।
শুধু একটা ইঁদুর ------
হৃৎপিণ্ডে ক্রমাগত রক্ত ক্ষরণ করে,
আজ ঠিক বিয়ের দশ বছর পর
যেখানে ঘর, শয্যা, মাথার উপর ছাদ এক,
আমাদের মধ্যে নেই দাড়ি কিংবা সেমিকোলন,
সেখানে তোমার সমস্ত মন জুড়ে কেন যে সুতপ,
আমার মন জুড়ে শুধুই বিজয়া ।
Comments
Post a Comment