পূর্ণেন্দু পত্রীর কবিতা পড়ছিলাম
কি সুন্দর কবিতা লিখেন তিনি;
যত পড়ি, আরো পড়তে ইচ্ছে হয় ।
আহা চললে কোথায়? কিসের ভয়?
কতদিন পর এভাবে বসলে বলো ;
কবিতা বুঝি লাগে না তোমার ভালো?
তবে, থাক তোলা থাক কবিতার যত ব্যাথা ,
এখন সময় তোমার আমার, ভালবাসার কথা ।
আজ তোমাকে সুন্দর দেখাচ্ছে, জানো ?
কি করেছো , কিছুই বললে নাতো ?
না না, উগ্রতার লেশ মাত্র নেই,
অনেকটা সেই দিঘির জলের মত;
তুমি দিঘির জল, আমি তাতে মাছ,
তুমি শান্ত স্থির, আমি অস্থিরতা ,
তোমার বুকে আমি, আমার বুকে আকুলতা ;
এই যাঃ , আবারো সেই কবিতা,
এখন কোন কবিতার কথা নয় ,
দুজনাতে বসে আছি, ভালবাসা হোক বিনিময় ।
আচ্ছা, এই যে আমরা অফিস ফেরত,
এখানে এসে বসি ,
আইম্যাক্সে অন্ধকারে গায়ে গা ঘষি ,
কিসের টানে ? মাঝে মাঝে আউটিং
এভাবেই তো চলছে এখন, আর কতদিন ?
ভাটির টানে চলছে জীবন, অনেক হয়েছে খেলা,
এবার না হয় শুরু হোক ঘর বাঁধার পালা ।
একটা সুন্দর বাড়ি , সামনে উঠান
উঠানে ফুলগাছ, লক্ষ ফুলের ঢালি
বাড়িতে পিছন দিকটা অনেকটাই খালি
ওখানে বাগান হবে, শব্জি বাগান, ফুল নয়;
বেড়া থাকবে কাঁটাতারের, গরু ছাগলের ভয়,
ভালবাসাও তেমনি, আগলে রাখার জিনিস
গরুছাগলের ভীষণ ভয়, করতে পারে ফিনিশ ।
শোবার ঘরে মাথার পাশে থাকবে সঞ্চয়িতা --
এই যাঃ , আবারো সেই ঘুরে ফিরে একই কবিতা,
না, না, আর কোন কবিতার কথা নয়,
এসো নিবিড়তর, ভালবাসা হোক বিনিময় ।
Comments
Post a Comment